নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধি---এ বিষয়ে দুই বন্ধুর একটি কাল্পনিক সংলাপ রচনা করো।
Answers
Answer:
রাম:কোথা থেকে ফিরছো রিমি ? বাজারে থেকে নাকি?
রিমি: হ্যা!!আর বলিস না !!!
রাম:কেন কি হয়েছে ?
রিমি:১কেজি আলুর কি দামটাই না হয়েছে, শুধু কি তাই সবকিছুরই তো এখন প্রচুর দাম বেড়েছে।
রাম:ঠিকই বলেছিস! দিন কে দিন নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের এত দিম বাড়লে তো বিপদ!!!
রিমি: তাই আমাদের এসব ব্যাপারে কিছু একটা পদ গ্ৰ্হন করতেই হবে।অন্তত নিত্যদিনের জিনিস তো আর এই দামে কেনা সম্ভব নয়!!
রাম: এবিষয়ে সরকারকে কিছু একটা পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।
রিমি:আচ্ছা ,এখন আসি, পড়ে এবিষয়ে কথা বলতে বসব।
রাম:আচ্ছা! আয় তাহলে।
Explanation:
শুভ :কিরে দীপেশ, তোর বাজারের ব্যাগটা ফাঁকা ফাঁকা লাগছে কেন?
দীপেশ : ফাঁকা ফাঁকা লাগবে না ? বাজারে সব জিনিসের দাম এত বেশি যে, ব্যাগভর্তি বাজার করা আর হবে না। দিনকে দিন দাম যেন লাফিয়ে বাড়ছে । মাছ-মাংসের দিকে তাকাতে তো রীতিমত ভয় করে ।সবজি বাজার ঢুকেও স্বস্তি নেই।
শুভ : কিন্তু এভাবে যদি জিনিসপত্রের দাম বাড়তে থাকে , তাহলে আমাদের মত সাধারন মানুষের বেঁচে থাকাটাই তো সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে।
দীপেশ : বিলাস দ্রব্য এর দাম বাড়ুক ক্ষতি নেই। কিন্তু নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র যেমন চাল, ডাল, তেল, নুন এর দাম যদি নাগালের বাইরে চলে যায় তাহলে তো আর কোন পথ নেই। জামা কাপড়ের দাম কেমন বেড়েছে দেখেছিস।
শুভ : জামা কাপড়, জুতো, ওষুধ - কোনটা বাড়েনি বল?
দীপেশ : প্রতিটি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম যেভাবে বাড়ছে, সেভাবে তো মানুষের উপার্জন বাড়ছে না। মুশকিলটা এখানেই বেশি। অথচ সরকার মূল্য বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে বিষয়টা কেউ তেমন গুরুত্ব দিচ্ছে না।
শুভ : কিছু অসাধু ব্যবসায়ীও অনেক সময় বাজারে কৃত্রিম অভাব সৃষ্টি করে জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে দেয়।
দীপেশ : হ্যাঁ, সে তো আছেই। লাভের জন্য এ কায়দা তো চলেই আসছে।
শুভ : আমাদের কি কিছুই করার নেই?
দীপেশ : নিশ্চয়ই আছে। নানাভাবে মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুলতে হবে। সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে হবে। যাই হোক, এখন আসি রে। আমি বাজার নিয়ে না ফিরলে মা রান্না বসাতে পারবে না।