মনে কর,তুমি শিক্ষা সফরে কোন বিশেস স্হান ভ্রমণ করতে গিয়েছ। সেখানে গিয়ে তুমি কোন কোন ধরনের অভিজ্ঞতা অর্জন করলে তার একটি বিবরন লিপিবদ্ধ কর।class 8 Assignment
Answers
Answer:
tell in English ; we can't Abel to understand your language
Answer:
বিষয় ; শিক্ষা সফরে অভিজ্ঞতা বর্ণনা।
উত্তর:
শিক্ষা সফর এর অভিজ্ঞতা
শিক্ষা সফর শিক্ষার এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা পুঁথির ক্ষুদ্র গণ্ডির মধ্যে আবদ্ধ; বইয়ের বিদ্যার বাইরেও আরো অনেক কিছু দেখার ও শেখার আছে। অর্থাৎ, বইয়ের জ্ঞানের পাশাপাশি বাস্তব জ্ঞানও দরকার।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন, ‘প্রত্যক্ষ বস্তুর সহিত সংস্রব ব্যতীত জ্ঞানই বলো, চরিত্রই বলো, নির্জীব ও নিষ্ফল হতে থাকে।’
তখন কেবল মাত্র জেএসসি পরীক্ষা শেষ হল এবং আমরা সবাই মিলে চিন্তা করলাম স্যারদের সাথে দূরে কোথাও ঘুরতে গেলে খুবই ভালো হয়।মাত্রই তো পরীক্ষা শেষ করলাম, আমাদের উপর দিয়ে অনেক ঝড়ঝঞ্ঝাট ও গেল তাই চিন্তা করলাম ভ্রমণের মাধ্যমে নিজেদেরকে একটু সজীব করে তুলি।আমরা সবাই মিলে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দেই ,আমরা ট্রেনে যাওয়ার কথা বলার কারনে আমাদের স্যাররা আমাদের জন্যে আগের দিন রাত্রেই ট্রেনের টিকেট নিয়ে এসেছিল। আমাদের এই যাত্রাপথ রেলপথে ছিল তাই আমরা ভ্রমণটি অনেক উপভোগ করি।বিশেষ করে আমি জানালার পাশে বসে অনেক সুন্দর সুন্দর মনোরম দৃশ্য দেখেছিলাম। সারা পথ আমরা সবাই মিলে অনেক গল্প করি, বন্ধুদের সাথে বগিতে খেলাও করেছিলাম।আমরা ট্রেনে চানাচুর আর বাদামওয়ালা থেকে চানাচুর বাদাম কিনে খেয়েছিলাম যদিও স্যাররা তা বারণ করেছিল কিন্তু আমরা তা শুনিনি।তারপর আমরা দুপুরে দুপুরের খাবারের জন্যে আনা খিচুড়ি দিয়ে দুপুরের খাবার খাই।তারপর আমরা চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে পৌঁছাই এবং সেখান থেকে আমরা একটি সিএনজি করে কর্ণফুলী বাস স্টেশনে গিয়েছিলাম।তারপর কর্ণফুলী বাস স্টেশন থেকে আমরা কক্সবাজার মুখী বাসে করে আমরা অবশেষে কক্সবাজারে পৌঁছাই।তখন আমরা অনেক ক্লান্ত ছিলাম এবং আমরা সেখানে খুব তাড়াতাড়ি একটি হোটেল বুকিং করে সেখানে উঠে যাই।আমরা সেখানে সন্ধ্যায় পৌঁছে ছিলাম এজন্য রাত্রে আর বাহির হই নি রাত্রে হোটেলে এ অবস্থান করি এবং বিশ্রাম করি।সেদিন খুব ভোরে আমরা সারা বিশ্বের সবচেয়ে বড় সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে পৌঁছাই এবং পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর অবলীলাময় এক সৌন্দর্য উপভোগ করি যা এর আগে আমি কখন ও দেখি নাই।সেখানে আনন্দের কোন সীমা ছিল না আমরা সেখানে সাঁতার কাটি গোসল করি ও বিভিন্ন রাইডে অংশগ্রহণ করি।আমরা বন্ধুরা ঘোড়ায় ও ছড়েছিলাম।সেদিন বিকেলে আমরা এখানে ইনানি পার্কে গিয়েছি। সেখানে অনেক সুন্দর সুন্দর জিনিস দেখেছিলাম অনেক প্রাণি ও দেখেছি। খোরগোশ, হরিণ ঈগল, এরকম অনেক প্রাণি দেখেছিলাম।তারপর কক্সবাজারে সবচেয়ে আকর্ষণীয় জিনিস হচ্ছে কেনাকাটার দোকান, সেখানে স্থানীয় মানুষদের দোকানগুলো অনেক প্রচলিত রয়েছে বার্মিজদের ও অনেক দোকান রয়েছে।আমরা অনেক কেনাকাটা করেছিলাম এবং আমি বাড়িতে বাবা মার জন্যে অনেক জিনিস কিনেছিলাম।শুটকি রপ্তানিও শুটকি কেনাকাটার জন্য এইজায়গা অনেক বিখ্যাত আমার অনেক শুটকির দোকান দেখেছিলাম।শুটকি রপ্তানিও শুটকি কেনাকাটার জন্য এইজায়গা অনেক বিখ্যাত আমার অনেক শুটকির দোকান দেখেছিলাম।পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারের সৌন্দর্যের কথা বলে শেষ করা যাবেনা এককথায় অসাধারণ। সেখানে আমরা দুদিন রাত্রি যাপন করি ।পরিশেষে আমরা সবাই বাড়ির উদ্দেশ্য রওনা। এই শিক্ষা সফরটি আমার জীবনের সব থেকে বেশী পাওয়া। জীবনে অনেক বাস্তব শিক্ষা এই সফরের মাধ্যমে পাই। আর এই সফরকে শিক্ষারই একটি অনিবার্য অঙ্গ হিসেবে বিবেচনা করতে হবে। তবেই শিক্ষা বাস্তবধর্মী ও অধিক কার্যকরী হবে।
শিক্ষা সফর
বৈচিত্র্যের সন্ধানী মানুষ কখনাে স্থির হয়ে বসে থাকতে পারে না। নতুন আকর্ষণে মানুষ প্রতিনিয়ত এক স্থান থেকে অন্য স্থানে গমন করে। দেশ সফর মানুষের জ্ঞান সঞ্চয়ের ও অবকাশ যাপনের একটি উৎকৃষ্ট পন্থা। এতে অভিজ্ঞতা বাড়ে এবং হৃদয়ের প্রসার ঘটে। এই উদ্দেশ্যগুলােকে সামনে রেখে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য শিক্ষাসফরের আয়ােজন করা হয়। ছাত্র-ছাত্রীরা বই-পুস্তক পাঠ করে দেশ-বিদেশের ইতিহাস প্রসিদ্ধ স্থান ও বস্তুসমূহের সম্বন্ধে অনেক কিছু জানতে পারে। কিন্তু নিজের চোখে দেখলে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা লাভ হয় অনেক বেশি।
বই পড়ে কোনাে একটি স্থান ও বিষয় সম্বন্ধে জ্ঞানার্জন সম্পূর্ণ হয় না বলেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ প্রতিবছর ছাত্রদের শিক্ষাসফরের ব্যবস্থা করেন। এর অন্যতম উদ্দেশ্য একাডেমিক প্রয়ােজন মেটানাে। কিন্তু শিক্ষা সফর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এইজন্য যে, এটি ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে সহমর্মিতা ও ভাবের আদান-প্রদান ঘটায়। ছাত্ররা জাতির মেরুদণ্ড, ছাত্রদের সুশিক্ষা দানের মধ্যে রয়েছে দেশ গড়ার কার্যকারিতা। আর হাতে-কলমে শিক্ষা গ্রহণই সুশিক্ষার অন্যতম পন্থা যা শিক্ষা। সফরের মাধ্যমে সম্ভব। শিক্ষা শুধু বইয়ের কয়েকটা পাতার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। শিক্ষার আলো সর্বত্রই বিচরণ করে। আর শিক্ষা সফর সেই আলোকে ছড়িয়ে দেয় উন্মুক্ত আকাশে। শিক্ষা সফরের মূল আনন্দ হলো প্রকৃতির আবার সৌন্দর্য্যকে প্রাণ খুলে অবলোকন করা। কিছুটা সময় প্রকৃতির মাঝে নিজেকে হারিয়ে ফেলা এবং প্রকৃতির মাঝেই নিজেকে আবিষ্কার করা এ এক অদ্ভুত অনুভূতি। ভ্রমণের আনন্দ একে অন্যের সাথে ভাগাভাগি করার মাধ্যমে সেই অনুভূতি হয়ে উঠে আনন্দের মহাসমুদ্র।
শুধু যে আনন্দই শিক্ষা সফরের উদ্দেশ্য তা কিন্তু নয়। শিক্ষা সফরের মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থী অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারে। শিক্ষা সফরের মাধ্যমে শিক্ষার্থী অনেক স্থান এবং ওই স্থানের জীবন যাপনের ধরণ এবং বিভিন্ন ধরণের সংস্কৃতির সম্পর্কে জানতে পারে। তাদের কল্পনা শক্তি বৃদ্ধি পায়। শরীর এবং মননের বিকাশ ঘটে। পড়াশুনার একঘেমেয়ি দূর হয়। মন প্রফুল্ল থাকে যা পরবর্তীতে শিক্ষার্থীকে পূনরায় পড়াশুনায় উজ্জীবিত করে। সুতরাং শিক্ষা সফরের গুরুত্ব অত্যধিক ও অপরিসীম।