1 এরই মাঝে বাংলার প্রাণ।– বাংলার প্রাণস্পন্দন কবি কীভাবে উপলব্দি করেছেন?
2 ‘চিঠি’ রচনা অবলম্বনে স্বামী বিবেকানন্দের স্বদেশভাবনার পরিচয় দাও।
3 ‘যা গিয়ে ওই উঠানে তাের দাঁড়া’– কবি কাদের, কেন এই পরামর্শ দিয়েছেন? কবিতার নামকরণের সঙ্গে উদ্ধৃতিটি
কীভাবে সম্পর্কযুক্ত ?
4 ... অগত্যা রাধারাণী কঁদিতে কাদিতে ফিরিল।– রাধারাণীর কান্নার কারণ কী ?
Answers
1 এরই মাঝে বাংলার প্রাণ।– বাংলার প্রাণস্পন্দন কবি কীভাবে উপলব্দি করেছেন?
উত্তর:- কবি জীবনানন্দ দাশ তার 'আকাশে সাতটি তারা' কবিতার বলেছেন বাংলার সন্ধ্যার সময়কালীন অপরূপ সৌন্দর্য ও বিচিত্র সৌরভে প্রাণের স্পর্শ খুঁজে পান তিনি । সূর্য যখন অস্ত যায়, তার লাল আভায় রাতের আঁধারে ডুবে থাকা মেঘের কামরাঙ্গা লাল রঙে, বাংলা নীল অতি স্নিগ্ধ সন্ধ্যার আবেশে, কিশোরের পায়ে দলিত মুথা ঘাসে, হাঁসের পালক কিংবা পাকা বট ফুলের গন্ধের নীরবতার মাধ্যমেই বাংলার প্রাণস্পন্দনে উপলব্ধ করেছেন কবি । এই সব কিছুর মাধ্যমে বাংলার প্রকৃতি তার রূপ রস গন্ধ ছড়িয়ে ছিটিয়ে দিয়েছে। এই ভাবেই এই সবকিছুর মাঝে কবি বাংলার প্রাণস্পন্দন উপলব্ধি করেছেন।
2 ‘চিঠি’ রচনা অবলম্বনে স্বামী বিবেকানন্দের স্বদেশভাবনার পরিচয় দাও।
উত্তর:- ১৮৯৭ খ্রিস্টাব্দের ২৯ শে জুলাই স্বামী বিবেকানন্দ আলমোড়া থেকে যে পত্রখানি রচনা করেন মিস নোবেল কে উদ্দেশ্য করে তাতে ভারতবাসী এখানকার সামাজিক রাজনৈতিক পরিবেশ এছাড়া ও ভারতের যেসকল ইউরোপিয়ান সেবার এসেছেন তাদের সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা প্রকাশ করেছেন ।
স্বামীজীর মতে মিস নোবেল ছিলেন একজন প্রকৃত সিংহী তাই ভারতের কাজে তার বিরাট উজ্জল ভবিষ্যৎ আছে । স্বামীজী মিস নোবেলকে সব সময় পরামর্শ দিয়েছেন তিনি যেন মিস মুলার বা অন্য কোনো কারও পক্ষপুটে না থেকে আপন বিচার-বুদ্ধিতে কাজ করেন ।স্বামীজি বলেন মিস মুলার ছিলেন আত্ম গৌরবে উদ্ধত মহিলা তাই জন্য তার সঙ্গে বনিয়ে চলা সম্ভব নয় । এদেশের বিভিন্ন কাজের ক্ষেত্রে মিস নোবল নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন হবেন বলে স্বামীজি বলেন ।পরাধীন ভারতের অশিক্ষিত বা অধঃ শিক্ষিত নয় এমন নারীরা সংস্কারের বশে তাকে সহজভাবে মেনে নাও নিতে পারেন। আবার ভারতীয়দের জন্য কাজ করায় এদেশের ইউরােপিয়ানরাও তার করা কাজ গুলিকে খামখেয়ালিপনা বলে ভাববে।তা সত্ত্বেও যদি তিনি এদেশের জন্য কর্মে প্রবৃত্ত হন, তবে স্বামীজি সব সময় সব রকম ভাবে তার পাশে থাকবেন।
স্বামীজি উক্ত চিঠিতে সেভিয়ার দম্পতির ভূয়সী প্রশংসা করে বলেছিলেন যে—তাদেরকে সহকর্মী রুপে পেলে মিস নোবল এবং সেভিয়ারদের কাজের সুবিধা হবে। তবে এও বলেন যে মিস নোবলকে নিজের পায়েই কিন্তু দাঁড়াতে হবে।মিস ম্যাকলাউড ও মিসেস বুলের সঙ্গে শরৎ কালীন সময় যদি মিস নােবল ভারতে আসেন ,তবে তার কাজের পথের একঘেয়েমিতা দূর হবে বলে উল্লেখ করেন স্বামীজি চিঠিতে ।
3 ‘যা গিয়ে ওই উঠানে তাের দাঁড়া’– কবি কাদের, কেন এই পরামর্শ দিয়েছেন? কবিতার নামকরণের সঙ্গে উদ্ধৃতিটি
কীভাবে সম্পর্কযুক্ত ?
উত্তর:- আলোচিত কবিতায় আজন্মের পরিচিত আমাদের জন্মভূমির জল-হাওয়ার নিবিড় স্নিগ্ধতা থেকে নির্বাসিত মানুষের হৃদয়ের যে গভীর ব্যাকুলতা সেটাই প্রকাশ করেছেন কবি। প্রকৃতির একটি আপন সম্পদ হল লাউমাচা, কুন্দফুল ও ঘাসের গন্ধ। যার শৈশব কেটেছে এই প্রকৃতির স্নিগ্ধ বৈচিত্র্যময় রূপ-রস-গন্ধে, সে কখনােই ভুলে যেতে পারে তাদেরকে। এই আলাে,বাতাস,মাটির নিবিড়ে এবং গভীর অনুরাগে গড়ে ওঠা শান্তির নীড় তাকে সব সময় আন্তরিক আহ্বান জানায়। নিজের স্বার্থের জন্য অথবা চারপাশের চাপে পড়েই তার জন্মভূমি তথা সাধের বাড়ি ছেড়ে তাকে চলে যেতে হয় অনেক দূরে। তা সত্ত্বেও ফল, ফুল, নদী তথা জন্মভূমির অমলিন স্পর্শ তার মনের মাঝে সারা জীবন থেকে যায়। তাই আপন খামখেয়ালেই সে ফিরে আসতে চাওয়ার স্বপ্নের কথাই রচনা করেছেন কবি । এছাড়াও বঙ্গমাতাও তার সন্তানকে নিজের কাছে ফিরে পাবার জন্য ব্যাকুল হয়ে ওঠেন।
4 ... অগত্যা রাধারাণী কঁদিতে কাদিতে ফিরিল।– রাধারাণীর কান্নার কারণ কী ?
উত্তর:- "অগত্যা রাধারাণী কঁদিতে কাদিতে ফিরিল।" - রাধারাণীর মা খুবই অসুস্থ, তার ওষুধের কোনো ব্যবস্থা নেই, ঘরে খাবারের কোনাে ব্যবস্থা হয়নি। এই অবস্থায় রাধারাণী রথের মেলায় যায় বনফুলের মালা গেঁথে সেটা বিক্রির জন্য, এবং সেই মালা বেঁচে যদি কিছু অর্থ পায় তাহলে সেই অর্থে মায়ের ওষুধের ব্যবস্থা সে করতে পারবে। কিন্তু রথ অর্ধেক রাস্তা টানতে না টানতেই প্রবল বৃষ্টি হয়। ফলে লােকজন মেলা ছেড়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়। এই কারণে রাধারাণীর সেদিন কোনাে মালা বিক্রি হয় না। আস্তে আস্তে অন্ধকার ঘন হয়ে আসতে থাকে। রাধারাণীর ওষুধ কেনার আসা একেবারেই ব্যর্থ হয়। তার মায়ের ওষুধের ব্যবস্থা সে কীভাবে করবে, তা ভেবে না-পেয়ে প্রায় কাঁদতে কাঁদতেই বাড়ি ফিরছিলেন রাধারাণী।